জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার গুদাম থেকে ভিজিডি ও বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের ৯২২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। তবে এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার বা কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
মোকলেছুর রহমান, ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এই উপজেলায় টানা দুই মাস ভয়াবহ বন্যা চলছে। ত্রাণের জন্য মানুষের মধ্যে চলছিল হাহাকার। সেখানে এসব চাল কলোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সরকারি বরাদ্দের ধান-চাল ক্রয় করে ওই গুদাম থেকে বিক্রি করতেন। প্রশাসন সব জেনেই তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে জড়িত লোকজনের কঠোর শাস্তি হওয়ার দরকার, যাতে গরিব মানুষের চাল কলোবাজারে কেউ বিক্রি করতে সাহস না পায়।
ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জব্দ করা চালগুলো উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। শুনেছি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে কমিটি গঠনের কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি। হয়তো পেয়ে যাব। তদন্তের পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় আমাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’