বাবা, তোর জন্য ওষুধ এনেছি, ওষুধ আমার ব্যাগে রয়েছে। ওষুধ খাওয়ার আগেই চলে গেলি। মৃত ছেলেকে কোলে নিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন মা আমেনা বেগম। চার বছর বয়সী প্রতিবন্ধী আদিব মিয়া আজ রোববার দুপুরে ঘরের ভেতরের গোসলখানায় বালতির পানিতে ডুবে মারা যায়।
আদিব মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের শরৎনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
আদিবের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদিব মিয়ার বাবা আমিনুল ইসলাম সৌদি আরবে থাকেন। আদিব মিয়ার দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। তার একটি পায়ে সমস্যা থাকায় সে হাঁটতে পারে না। সে দুই ভাই ও মায়ের সঙ্গে বাড়িতে বসবাস করে।
দুই দিন আগে আদিবকে ঢাকায় পায়ের চিকিৎসা করানো হয়। আজ রোববার দুপুরে আদিবের মা তার জন্য ওষুধ আনতে কুটি বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল আদিব। সে ধীরে ধীরে ঘরের ভেতরের গোসলখানায় চলে যায়। সেখানে বালতিতে রাখা পানিতে আবিরের মাথা নিচে চলে গিয়ে পানিতে ডুবে থাকে।
এদিকে আদিবের ভাই ও বাড়ির অন্যরা তাকে খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে ঘরের ভেতর বালতির পানিতে ডুবে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে শিশুটির মা আমেনা বেগম দৌড়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় ছেলের লাশ কোলে নিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া বলেন, শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই পানিতে ডুবে মারা গেছে।