নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পানিতে ডুবে নাসির উদ্দিন (১৬) নামের এক কিশোর ও সড়ক দুর্ঘটনায় রানা আহমেদ (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করেছে।
মৃত নাসির উদ্দিন উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে। আর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রানা আহমেদ রংছাতি ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকার গ্রাম-পুলিশ জালাল উদ্দিনের ছেলে। সে রংছাতি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কিশোর নাসির তার মা সেতারা বেগমকে জানায়, সে একই গ্রামে নানার বাড়িতে যাবে। তার ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। রাত দুইটার দিকে নানার বাড়ির পাশের পুকুরে নাসিরকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এলাকাবাসী আরও জানান, গতকাল রাত নয়টার দিকে স্কুলছাত্র রানা রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেল চালানো শিখতে বের হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংছাতি-কলমাকান্দা সড়কের শালিকাবাম এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি আমগাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সে গুরুতর আহতাবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, পুকুরে ডুবে কিশোর নাসির উদ্দিন ও সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র রানা আহমেদ নিহত হয়েছে। তাদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নাসিরের মৃগীরোগ ছিল বলে তার পরিবার জানিয়েছে। পৃথক দুই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।