ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে গেছেন খুলনার ট্যাংকলরির শ্রমিকেরা। এ কারণে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তিনটি ডিপো থেকেই তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে তাঁরা এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন। কর্মবিরতির কারণে খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫টি জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ আছে।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে কাশিপুর বাংলার মোড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিনকে গুরুতর জখম করে। তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা যে যেখানে ছিলেন, সেখানেই গাড়ি রেখে প্রতিবাদ শুরু করেন। নগরের নতুন রাস্তা মোড়ে বেলা একটা থেকে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে বিকেল চারটায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মীর মোকসেদ আলী বলেন, সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি চলবে। শ্রমিকেরা ইউনিয়ন অফিসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আল আমিনের ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গতকাল রাতে মামলা করেছেন। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।