বর্তমান পরিস্থিতিতে আর সরাসরি ক্লাস বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘সামনে আমাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। আমাদের প্রত্যেকটা শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। আমরা যে রুটিনে ক্লাস শুরু করে ছিলাম, এখনো সেটা আছে। এই মুহূর্তে ক্লাস বাড়ানোর সুযোগ নেই। তা ছাড়া শ্রেণিকক্ষে জায়গারও ব্যাপার আছে।’
আজ শনিবার সকালে চাঁদপুর শহরতলির বাবুরহাট এলাকায় চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ-২–এর নতুন কমপ্লেক্সে ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘যদি ক্লাস বাড়াতে যাই, আমাদের এত শিক্ষকও নেই। তবে আগামী জানুয়ারিতে আমরা চিন্তা করছি, যদি করোনার পরিস্থিতি এমন থাকে, তাহলেই ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা চিন্তা করব।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে, কোথায় কোথায় কারা কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা তদন্ত করে সব বের করা হচ্ছে। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে আমাদের যে অসম্প্রাদায়িক চেতনা, সেটা সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। ঠিক একইভাবে আমাদের চোখ–কান খোলা রেখে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়, আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় শুভবোধসম্পন্নরা একজোটে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘অশুভ অপশক্তি যতই সংঘবদ্ধ হোক না কেন, আমরা শুভ শক্তির মানুষ যদি সব একজোট হই, তাহলে কখনো অশুভ কোনো শক্তি শুভ শক্তির ওপর জয়ী হতে পারবে না। যেমন একাত্তরে পারেনি, তেমন এখনো পারবে না। এ জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাইকে চোখ–কান খোলা রাখতে হবে।’
এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ-২–এর মহাব্যবস্থাপক দেব কুমার মালো, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।