ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ আজ রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এই নিয়ে পুলিশের ১৩ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
রাজু আহম্মেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পর তিনি মারা যান।
রাজু আহম্মেদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
রাজু আহম্মেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশের উদ্যোগে রাজু আহম্মেদকে তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহফুজা লিজা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ৪ মে থেকে রাজু আহম্মেদ আইসিইউতে ছিলেন। এক সপ্তাহের মাথায় মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ১১ মে রাজু আহম্মেদকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
মাহফুজা আরও লেখেন, ‘তিনটি সপ্তাহ আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম অবস্থা একটু উন্নতির দিকে, আগের চেয়ে ভালো এমন কিছু শোনার জন্য। আজ শেষ হলো সেই অপেক্ষার..., ক্রমাগত যেন শুনতে পাচ্ছি তাঁর বেঁচে থাকার আকুতি; নিষ্পাপ দুই সন্তান ও প্রিয় পরিবারের জন্য।’
রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নিয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন রাজু আহম্মেদ। গত বছরের ২৪ নভেম্বর ১৪ জনকে আসামি করে তিনি ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।
এদিকে শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োজিত ৩ হাজার ৫৭৪ জন এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন সাত শ-জন।
করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৮ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৯ জন, সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৯৭ জন, উপপরিদর্শক পদমর্যাদার ৩৮৬ জন, সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার ৪৮১ জন কর্মকর্তাসহ ৩ হাজার ৫৭৪ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।