করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল প্রশিক্ষক সাফিনুর রহমান সম্রাট (৫৬)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় তাঁকে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাফিনুর রহমান বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় বসবাস করতেন। ফুসফুসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় তিনি ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আকতার বলেন, সাফিনুর মাস দুয়েক আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁর ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিলে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি প্রায় দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর সপ্তাহ দুয়েক আগে করোনামুক্ত হন। কিন্তু করোনা–পরবর্তী নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এ কারণে হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিৎসার কাজে ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন। বুধবার রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তাঁকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাফিনুর রহমান ১৯৮৬-৮৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় ফুটবল দলের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে এশিয়া কাপে খেলেন। মোহামেডান ছাড়াও তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি আরও বলেন, আরামবাগ ক্রীড়া চক্র, পিডব্লিউডি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর ফুটবল প্রশিক্ষকের পেশা বেছে নেন তিনি। বগুড়া ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন সাফিনুর।