বরগুনার বামনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সবুজ (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। উপজেলা প্রশাসন ওই বাড়ি লকডাউন করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে।
মারা যাওয়া যুবক উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের ছেলে। পরিবারের দাবি, সবুজ ডায়রিয়ায় মারা গেছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে সবুজ (২৫) নামের ওই যুবককে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তাঁর পাতলা পায়খানাজনিত সমস্যা ছিল। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান। পরে যুবকের এই মৃত্যুর সংবাদ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। করোনার উপসর্গে মারা গেছে—এমন সন্দেহের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাড়িটির প্রবেশমুখে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়।
মারা যাওয়া যুবকের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে সবুজ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে রাতে প্রচুর পরিমাণে হাঁসের ও গরুর মাংস দিয়ে খেয়ে বাড়িতে আসেন। রাতে বহুবার তিনি পাতলা পায়খানা ও বমি করেন। সকাল হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ডায়রিয়ার স্যালাইন চালু অবস্থায় ৯টার দিকে সবুজ মারা যান।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, সকালে পাতলা পায়খানা, বমি ও বুকে ব্যথা নিয়ে সবুজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় মারা যান। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফলাফল এলে বলা যাবে তাঁর করোনায় মৃত্যু হয়েছে কি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সরকার প্রথম আলোকে বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।