প্রথম টেস্ট জয়ের জার্সি এখনো স্মারক হিসেবে রেখে দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। এই জার্সিতে রয়েছে ওই টেস্ট দলের সবার অটোগ্রাফ। করোনাদুর্গত মানুষের জন্য সেই জার্সি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমান ক্রিকেট দলের এই নির্বাচক। সঙ্গে দিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার অটোগ্রাফ–সংবলিত একটি জার্সি।
শুধু হাবিবুল বাশার সুমন নন, একইভাবে এগিয়ে এসেছেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ও আশরাফুল। তাঁরা পছন্দের সব সংগ্রহের জিনিস দিয়েছেন বাংলাদেশ আর্ট উইক নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। আগামীকাল শুক্রবার রাত আটটায় বাংলাদেশ আর্ট উইকের ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। ফেসবুক পেজে সংযুক্ত হয়ে চমকপ্রদ এই নিলামে অংশগ্রহণ ছাড়াও এ অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে পারবেন সবাই। এ আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আর্ট উইকের কো-ফাউন্ডার ও পিএইচপি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা চেষ্টা করছি এ দুঃসময়ে কিছু করার। তাই এ নিলামের মাধ্যমে শিল্পীদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে অর্থ ব্যয় করা হবে। তবে এবার চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এটা নিলামে একটা চমক থাকবে।’
>আগামীকাল শুক্রবার রাত আটটায় বাংলাদেশ আর্ট উইকের ফেসবুক পেজ–গ্রুপে ক্রিকেট স্মারক ও চিত্রকর্মের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
এই নিলামে খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীদের মধ্যে ফরিদা জামান, আইভী জামান, দিলরুবা বেগম, জলি রোকেয়া, সুলতানা কনক, কনকচাঁপা, প্রিমা নাজিয়া, আন্দালিব আয়েশা, সুলতানা তাসনিম, তারিক সালমা আবেদীন, পৃথী ফারজানা হক ও রুমানা রহমানের আঁকা চিত্রকর্ম উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া আসওয়াদ ব্যান্ডের মোহাম্মদ মহসিন ৩০ বছরের পুরোনো একটি বেজ গিটার নিলামের জন্য দিয়েছেন।
আয়োজকেরা জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান নিলামের জন্য দান করেছেন ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০টি দেশের অধিনায়কদের অটোগ্রাফ–সংবলিত একটি ক্রিকেট ব্যাট। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার আশরাফুল দিচ্ছেন ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশের জার্সি। এই জার্সিতেও রয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ।
বাংলাদেশ আর্ট উইকের প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ বলেন, ‘শিল্প ও ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবীরা কোভিডে ভয়াবহ সমস্যায় আছেন। আমরা সমষ্টিগতভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি মনে করি, এই সময় সবারই উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। বাংলাদেশ আর্ট উইকের উদ্দেশ্য হলো এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’