কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে নিখোঁজ এক ব্যক্তির খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সুলতাননগর গ্রামের পূর্বপাড়ায় নরসুন্দা নদীর তীরে ‘ডোবার পাড়’ নামে এক কবরস্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. মতিউর রহমান (৫৫)। লাশ উদ্ধারের সময় তাঁর কোমর থেকে নিচের অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিহত মতিউর ওই গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে। পাশের মরিচখালী বাজারের হারেছ মিয়ার ভাতের হোটেলে কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার সন্তানের জনক মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী সাত বছর আগে মারা যান। ২০ মে গুণধর ইউনিয়নের গাংগাটিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার তিনি বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাত আটটার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে হোটেল মালিক হারেছ মিয়ার ফোন পেয়ে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মুঠোফোন খোলা থাকলেও কেউ কল ধরেননি। আজ সকালে নরসুন্দা নদীর পাড়ে কবরস্থানে স্থানীয় লোকজন মতিউর রহমানের লাশের খণ্ডিত অংশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কোমর থেকে লাশের নিচের অংশ পাওয়া যায়নি। লাশের অবস্থা দেখে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।