কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গোসলে নেমে সাঈদ হোসেন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে লাইফগার্ড কর্মীরা। একই স্থানে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ সাঈদের বন্ধু মোহাম্মদ মুসাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সাগরে গোসল করতে নেমে মারা যাওয়া সাঈদ হোসেন রামু সরকারি ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি রামু উপজেলার তেচ্ছিরকুল গ্রামের বাসিন্দা শামশুল আলমের ছেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার মোহাম্মদ মুসাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মুসা একই গ্রামের মো. হাশেমের ছেলে।
সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি ‘সি-সেফ’ লাইফগার্ডের ব্যবস্থাপক সাইফুল্লাহ সিফাত প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সোয়া নয়টার দিকে সাঈদ হোসেনসহ ছয় বন্ধু কলাতলী সৈকতের উত্তরে গোসলে নামেন। তখন ভাটা শুরু হলেও সাগর শান্ত ছিল। ছয় বন্ধু একটি টায়ার টিউব নিয়ে গভীর সাগরের দিকে ভেসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বড় একটি ঢেউয়ের ধাক্কায় ছয়জন টায়ার টিউব থেকে ছিটকে পড়েন। এ সময় লাইফগার্ড কর্মীরা সাগরে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করলেও সাঈদ হোসেন নিখোঁজ ছিলেন। এক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাঈদের লাশ ভেসে ওঠে।
‘সি-সেফ’ লাইফগার্ডের কর্মীরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে সৈকতে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় চলছে। আজ শুক্রবার সকালে সৈকতের কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সৈকতে অন্তত ৩০ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। তাঁদের ৯০ শতাংশ পর্যটক প্রচণ্ড গরমে সমুদ্রে নেমে লোনা জলে শরীর ভেজাচ্ছেন। সৈকতের সুগন্ধা, সিগাল ও লাবনী পয়েন্টে ডুবে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারে সি-সেফ প্রতিষ্ঠানের ২৬ জন লাইফগার্ড নিয়োজিত থাকলেও কলাতলীসহ হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ সৈকতে লাইফগার্ড নেই।
সি-সেফ লাইফগার্ডের ব্যবস্থাপক সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, সাঈদ হোসেনের সম্ভবত সাঁতার জানা ছিল না। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ভেসে যাওয়া লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার করাও কঠিন। ভাটার সময় সমুদ্রে নামতে নিষেধ করে প্রচারণা ও সৈকতে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হলেও সেদিকে কারও নজর থাকে না।