কক্সবাজারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিন যুবককে আজ রোববার গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে তাঁরা কেউ এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়ার মামুনুর রশিদ (২৮) ও পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২৫)।
আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে গ্রেপ্তার যুবকদের বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, ওই নারী আদালতে ২২ ধারায় ১৭ পৃষ্ঠার যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে গ্রেপ্তার তিন যুবকের নাম আছে। শহরের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজারে আসেন এবং তিন মাস ধরে তাঁরা কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে আশিক ও তাঁর সহযোগীদের। তাঁরা ওই নারীর কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি এবং তাঁর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। চাঁদা দিতে না পারায় আশিক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ওই নারীকে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। আদালতে দেওয়া ওই নারীর জবানবন্দি এবং মামলার তদন্তের ভিত্তিতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর ওই নারীকে গলফ মাঠ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন। পরের দিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটনের (৩০) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।