আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। বসুরহাটের বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর আগে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ মার্চ উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে দলের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু চত্বরে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে আরেকটি অংশ উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলো–সংলগ্ন বীর উত্তম নুরুল হক মিলনায়তনে পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু চত্বরে ৭ মার্চের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ, যেহেতু আমার নেত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবেন। আমি বলেছি, আমি শুধু ফুলটা দেব। আমরা ফুল দেওয়ার পরে আমাদের দলীয় অনুষ্ঠান শেষ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে একটা কথা বলে রাখতে হয়, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে দিশেহারা। কিছু ষড়যন্ত্রকারীর খপ্পরে পড়ে আজকে তাঁর উসকানিতে, মদদে এখানে তাঁরা (মিজানুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলের অপর অংশ) সমাবেশ করছে। অথচ আমাদের দল সমাবেশ বন্ধ করেছে।’
সত্যবচনে আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করি। এটাই হচ্ছে আমার অপরাধ। উনি (ওবায়দুল কাদের) বরদাশত করতে পারছেন না। বলেছেন, এত বড় সাহস তাঁকে কে দিয়েছে? আমি নেত্রীর সঙ্গে প্রথম থেকে যোগাযোগ করি। নির্বাচনও করেছি, সবকিছু করেছি। আমি এটা থেকে সরতে পারব না। আমাদের শেষ ঠিকানা হচ্ছে নেত্রী। আমরা তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’
প্রায় ছয় মিনিটের বক্তৃতায় কাদের মির্জা সাংবাদিক বুরহানের হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। পিবিআইয়ের ওপর এসপি (জেলা পুলিশ সুপার) নাকি চাপ প্রয়োগ করে এটা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চাপরাশিরহাটের সিসি ক্যামরাগুলো নেই। কোথায় গেছে? এটা তদন্ত করে বের করতে হবে, কে সিসি ক্যামেরা সরিয়েছে? এই সিসি ক্যামরাতে আছে তাঁর (বুরহান) বুকের সামনে দাঁড়িয়ে কীভাবে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। এটা সিসি ক্যামেরায় আছে।’ আলোচনা সভায় কাদের মির্জা আবারও সাংবাদিক বুরহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।