আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এলাকার কোনো খবর রাখেন না বলে মন্তব্য করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ বুধবার সকালে কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের ছাত্রী শাহনাজ পারভিনের হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন শুরু হয়। এতে কলেজের শিক্ষক ও বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন। এ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কাদের মির্জা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। প্রায় ছয় মিনিটের ওই বক্তব্য কাদের মির্জার ফেসবুক পেজে লাইভ করা হয়। কাদের মির্জা বলেন, গত এক বছর শান্তির কোম্পানীগঞ্জে অশান্ত করা হয়েছে। এর আগে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধীরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সিএনজিচালক আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। বিচার হয়নি। একজন গরিব অটোরিকশাচালককে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাঁর লাশ গুম করা হয়েছে, বিচার হয়নি।
কাদের মির্জা আরও বলেন, যদি সাংবাদিক মুজাক্কির, সিএনজিচালক আলাউদ্দিন, অটোরিকশাচালক বলরামের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হতো, তাহলে শাহনাজ পারভিন প্রিয়তাকে হারাতে হতো না। নোয়াখালীর এসপি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসি এই এলাকাকে সন্ত্রাসীদের জনপদে রূপান্তরিত করেছেন। দুই দিন আগে ছোট ধলীতে ছিনতাইকালে তিন পুলিশ সদস্য ধরা পড়েছেন। এর আগে চরফকিরা বেড়ির ওপরে একজন অটোরিকশাচালকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে গাড়ি ছিনতাই করার সময় এক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব এই এলাকার মন্ত্রী-এমপি। তিনি এই এলাকার খবর রাখেন না। স্যালুট নেওয়ার জন্য আসেন, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ। এই এলাকার খবর রাখেন না। আমি আজ বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি করব প্রিয়তাসহ কোম্পানীগঞ্জে যে চারটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে কোম্পানীগঞ্জে শান্তির জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।’
গত রোববার সকাল আটটায় কর্মস্থলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন কলেজছাত্রী শাহনাজ পারভিন। রাত আটটায় ফেরার কথা থাকলেও রাতে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সোমবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নানার বাড়ির অল্প দূরে একটি পরিত্যক্ত ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। লাশের মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল।