ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা থেকে ওঠানামা করছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে আজ দুপুর ১২টার দিকে একই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এর আগে গত রোববার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তাবেষ্টিত চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর, পূর্ব ছাতনাই ও খোকার চরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
টেপাখাড়িবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে ইউনিয়নের দেড় হাজার বাড়িঘরে বন্যার পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় তিস্তা নদীর পানি ৫২ দশমিক ৭৪ মিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৬৫ মিটার এবং দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ৫৮ মিটার দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তা নদীর পানি সকালে বিপৎসীমার ওপর থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে সেটি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।