চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহবুবুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
আলহেলাল মাধ্যমিক ইসলামি একাডেমির উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে শহর-গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং নূরনগর এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষেরা দল বেঁধে অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার ও প্রধান শিক্ষক মো. রিপন আলী।
বক্তারা বলেন, আলোচিত খুনের এই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত মাত্র একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা প্রকাশ্যে দিনের আলোয় শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সামনে মাহবুবুরকে খুন করেছে, সেই খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাবের কারণে আসামিরা যাতে রক্ষা না পায়, সে জন্য পুলিশকে প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।
এদিকে মানববন্ধন শেষে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’, ‘তপু হত্যার বিচার চাই’, ‘খুনিদের ফাঁসি চাই’ স্লোগান লেখা ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নূরনগর কলোনি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান দেওয়া হয়।
মামলার বাদী ও নিহত মাহবুবুরের ভাই মাসুদুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের খুনের ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। আমাদের কারোরই মনের অবস্থা ভালো নেই। আমরা আইনের প্রতি আস্থাশীল। আইনগতভাবেই আমার ভাইয়ের হত্যার ন্যয্যবিচার চাই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘পুলিশের একাধিক টিম রাতভর শহর ও আশপাশের এলাকাসহ সম্ভাব্য জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। আশা করি শিগগির একটি ইতিবাচক খবর দিতে পারব।’
গত রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় আলহেলাল মাধ্যমিক ইসলামি একাডেমিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা চলছিল। সে সময় দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহবুবুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।