চট্টগ্রাম নগরের সল্টগোলা এলাকার উড়ালসড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন ধরে ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফাটল দেখা দিলেও উড়ালসড়কের কোনো ঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন নির্মাণকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলীরা। এটি বন্দর উড়ালসড়ক হিসেবে পরিচিত। এখনো এই উড়ালসড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
এই উড়ালসড়ক দিয়ে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি থেকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। কোনো যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে না। এটি চট্টগ্রাম নগরের প্রথম উড়ালসড়ক।
গত মাসে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান উড়ালসড়কের র্যাম্পের একটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়।
সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, সল্টগোলা এলাকার উড়ালসড়কের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে তা মূল অবকাঠামোতে নয়। এই ফাটল সংস্কার করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া পুরো উড়ালসড়ক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সওজের একটি বিশেষজ্ঞ দল আসছে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকৌশলগত সমীক্ষা প্রতিবেদন দেবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১২ সালের মার্চে এই উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ দশমিক ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসড়ক চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) সঙ্গে বন্দর টোল রোডের সংযোগ ঘটিয়েছে। এই টোল সড়কটি চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন কাস্টমস ব্রিজ থেকে ফৌজদারহাট হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে মিশেছে।
গত মাসে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান উড়ালসড়কের র্যাম্পের একটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান উড়ালসড়কের কালুরঘাটমুখী র্যাম্পের পিলারে ফাটলের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন রাতেই র্যাম্পের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় নগরের চান্দগাঁও থানার পুলিশ। ২৭ অক্টোবর নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মতামত দেয়, পিলারে কোনো ফাটল নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটিও একই মত দেয়। এরপর ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার সন্ধ্যায় যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।