এখন চলছে ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখন চলছে উত্তপ্ত কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখন চলছে আগুনে উত্তপ্ত কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ। কনটেইনারের স্তূপ থেকে ক্রেন দিয়ে একটি একটি করে কনটেইনার নামিয়ে আনা হচ্ছে। এরপর সেটির দরজা খুলে আগুন নেভানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

তবে এ কাজ চলছে একটিমাত্র ক্রেন দিয়ে। এ কারণে কনটেইনার নামাতে সময় লাগছে। এতে কনটেইনার ঠান্ডা করা ও ডাম্পিংয়ের কাজেও সময় লেগে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানিয়েছেন, এখনো ২০টির মতো কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ বাকি আছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় মাত্র ৪টি কনটেইনার নামিয়ে এনে ভেতরে তুষের মতো জ্বলতে থাকা আগুন নেভানো গেছে। এরপর পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কনটেইনারগুলো ডাম্পিং করা হয়।

আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি ছিটিয়ে কনটেইনার ঠান্ডা করার কাজ করছেন। একটিমাত্র ক্রেন দিয়ে স্তূপ থেকে কনটেইনার নামানোর কাজ করছেন একজন ক্রেন অপারেটর। এ ছাড়া ডিপোর কয়েকজন শ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবী ভেতরে কাজ করছেন। বাইরে সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা অবস্থান করছেন। শ্রমিকেরা ঠান্ডা করা কনটেইনারের ভেতরে থাকা প্যাকেটগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, যে চারটি কনটেইনার নামিয়ে ঠান্ডা করে ডাম্পিং করা হয়েছে, তার মধ্যে দুটিতে ছিল তামাকপণ্য ও দুটিতে ছিল তৈরি পোশাক। এ ছাড়া ঠান্ডা করার অপেক্ষায় রাখা ২০ কনটেইনারের মধ্যে কোনো রাসায়নিক থাকার আশঙ্কা দেখছেন না তাঁরা।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত রাতে তাঁদের ৬টি ইউনিটের ৪২ জন আগুন নির্বাপণের কাজ করেছেন। এখন তাঁদের আরও কয়েক সদস্য এ কাজে যুক্ত হবেন। কনটেইনার যত দ্রুত স্তূপ থেকে নামিয়ে আনা যাবে, তত দ্রুত তাঁদের পক্ষে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ক্রেন বাড়ানো হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের চারটি ক্রেন ছিল। তার মধ্যে তিনটি ক্রেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ক্রেন দিয়ে তাঁরা এখন কাজ করছেন, সেটিও পুরোনো। কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ক্রেন বাড়ানোর জন্য।