আঙুরের মতো একটি থোকায় ঝুলে আছে ৩৮টি লাউ। নতুন করে আবারও কিছু ফুল এসেছে। এ ঘটনা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামের শামছুল আলী ও জয়নব বেগম দম্পতির বাড়িতে।
কৃষক পরিবারটি জানায়, তারা স্বাভাবিকভাবেই লাউয়ের বীজ লাগিয়েছিল। গাছ বড় হলে স্বাভাবিকভাবে লাউ ধরে। তবে এখন গাছে লাউ ধরার কথা নয়। হঠাৎ তাঁরা দেখেন, গাছের একটি গিঁট (লাউগাছের দুই ডাঁটার সংযোগস্থল) থেকে অনেকগুলো লাউয়ের ফুল বের হচ্ছে। কিছুদিন পর দেখেন, আঙুরের থোকার মতো হয়েছে। একটি থোকায় ৪০টি লাউ রয়েছে।
১৫-১৬ দিন আগে হঠাৎ দেখতে পান, একটি গিঁট থেকে অনেকগুলো লাউয়ের ফুল এবং কচি লাউ আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ৪০টির মতো লাউ একই স্থানে ধরেছে। সাত-আট দিন থেকে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এসব লাউ দেখতে আসছে।
গৃহবধূ জয়নব বেগম বলেন, এই লাউগাছ তিনি নিজ হাতে লাগান। ইতিমধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি লাউ আর সব গাছের মতোই ধরেছে। সেগুলোর কিছু খেয়েছেন, কিছু বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ১৫-১৬ দিন আগে হঠাৎ দেখতে পান, একটি গিঁট থেকে অনেকগুলো লাউয়ের ফুল এবং কচি লাউ আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ৪০টির মতো লাউ একই স্থানে ধরেছে। সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বড়ও হচ্ছে। দেখে মনে হয় একটি থোকায় সব লাউ ঝুলে আছে। সাত-আট দিন থেকে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এসব লাউ দেখতে আসছে।
বলদিয়া এলাকা থেকে লাউ দেখতে আসা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘জীবনে এমন দেখি নাই। অবাক কাণ্ড। গনি দেখলাম এক থোকায় ৩৮টার মতো লাউ ধরেছে। বাড়ির মালিক জানায়, ছোট দুইটা পড়ি গেছে।’ শাহী বাজার থেকে খবর পেয়ে এই লাউ দেখতে এসেছেন মেহেদি হাসান ও আলম মিয়া। উভয়ে বলেন, লোকমুখে শুনে প্রথমে বিশ্বাস করেননি। এখানে এসে দেখে চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না।
প্রতিবেশী কুলসুম বেগম বলেন, অনেক লোক আসছেন এই লাউ দেখতে। অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যান।
গৃহকর্তা শামছুল আলী বলেন, থোকায় ঝুলে থাকা ২৫টির মতো লাউ ২০০ গ্রামের ওজন মতো হয়েছে। এগুলো বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাকিগুলো এখনো ছোট। নতুন করে আরও কিছু ফুল আসছে একই স্থানে। তিনি বলেন, ‘লাউ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মেলা মানুষ আইসে। বাড়িত ভিড় নাগি আছে।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিজে দুপুরে গিয়ে দেখে এসেছি। এ রকম লাউ ধরা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। পরিবেশগত বা জেনেটিক কারণে হতে পারে।’