বরগুনার পাথরঘাটায় সাগর থেকে একসঙ্গে দুটি শাপলাপাতা মাছ ধরেছেন জেলেরা। পরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ দুটি এক লাখ ছয় টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। মাছ দুটির ওজন ছিল প্রায় ৯ মণ।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নিউ আলামিন ফিশের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, রোববার দিবাগত রাতে সেলিম মাঝির ইলিশের জালে দুটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। মাছ দুটি ট্রলারে তুলতে না পারায় রশি দিয়ে ওই ট্রলারের সঙ্গে বেঁধে পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে আসেন। পরে ওই মাছ দুটি পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে এত বড় মাছ দেখে হইচই পড়ে যায়। মাছ দুটির মধ্যে একটির ওজন ৬ মণ ৩৩ কেজি, অপর মাছটির ওজন ৭৮ কেজি।
আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম শাপলাপাতা মাছ দুটি মাছটি বিক্রি করেন। এ সময় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মৎস্য পাইকার কবির হোসেন প্রকাশ্যে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ওই মাছ দুটি কেনেন।
ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) তথ্যানুযায়ী, শাপলাপাতার ১৬টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে যে ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে ২টি প্রজাতি মহাসংকটাপন্ন ও ৩টি সংকটাপন্ন।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার প্রথম আলোকে বলেন, এটি হচ্ছে স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরা ইমব্রিকাটা। তবে এ প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। সমুদ্রের অগভীর স্থানে তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে শাপলাপাতা মাছ।