চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মতলব পৌরসভার নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইশপুর এলাকায় ‘আওয়ামী লীগ–সমর্থিত’ কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল বাশার ওরফে পারভেজ এবং ‘বিএনপি–সমর্থিত’ কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ গিয়াসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৫টায় ওই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইশপুর গ্রামে ব্যাপারী বাড়ির সামনে ভোটের প্রচারণায় নামেন কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ গিয়াসের কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় মাইক নিয়ে সেখানে প্রচারণা ও গণসংযোগ করছিলেন অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল বাশার ওরফে পারভেজের কর্মী-সমর্থকরাও। দুপক্ষের লোকেরা একই জায়গায় প্রচারণা চালাতে গেলে কথা-কাটাকাটি থেকে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী–সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর আহত ওই আটজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন বাইশপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২২), নাসির হোসেন (৫২), এমদাদুল হক (৫০), কাঞ্চনমালা (৫৫), সাহিদা বেগম (৫৫), মুক্তার হোসেন (৪৫), হৃদয় মোল্লা (২১) ও পাভেল মোল্লা (৪৬)। তাঁদের মধ্যে নাসির হোসেন ও এমদাদুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিবার সূত্র জানায়, নাসির ও এমদাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ গিয়াস ও আবুল বাশার একে অপরকে দায়ী করেন। দুই প্রার্থীই বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা থানায় মামলা করবেন। মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ মামলা করেননি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।