গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক গৃহবধূকে (২৩) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই কাপাসিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রোমান ব্যাপারী (২০), মো. জোবায়ের (২০), মুস্তারিন সরদার (২১), সাহাবুল হোসেন (২২), মাসুম শেখ (২৩), রাকিব হোসেন (২০), মো. মাহফুজুল (২১)। জড়িত অপর ব্যক্তি সাখাওয়াত হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আফজাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর স্বামী বিদেশে কর্মরত। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দু-তিন মাস ধরে কাপাসিয়ার সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। নিয়মিতই মুঠোফোনে কথা হতো তাঁদের। গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোন উপহার দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে ডেকে নেন সাখাওয়াত হোসেন। তাঁকে গ্রামের একটি নির্জন টেকে (বিলের মাঝের উঁচু জায়গা) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সাখাওয়াতের বন্ধু মাসুম শেখ দেখে ফেলেন। তিনি আরও সাত-আটজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারী দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাঁকে জোর করে ধরে টেকে নিয়ে আবার একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে ওই নারীকে আটকে রেখে তাঁর মাকে ফোন দেন নির্যাতনকারীরা। তাঁর মাকে দ্রুত ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। টাকা পাঠানোর জন্য একটি নম্বরও দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর মা বিকাশ নম্বর নিয়ে কাপাসিয়া থানায় এসে ঘটনা জানান।
পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসাইন বলেন, বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাহাবুলকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতেই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার প্রত্যেককেই ভুক্তভোগী নারী শনাক্ত করেছেন। গ্রেপ্তার ছয়জনও প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করেছেন।