উপহারের প্যাকেটে আ.লীগ নেতার দোকানে পাঠানো হলো সাপ

উপহারের প্যাকেটে আওয়ামী লীগ নেতার দোকানে সাপ পাঠানোর ঘটনায় গজারিয়া বাজারের উৎসুক জনতা সেখানে জড়ো হন
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার দোকানে উপহারের প্যাকেটে সাপ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। প্যাকেট খুলে সাপ দেখে মূর্ছা যান দোকানের এক কর্মচারী। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার গজারিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাজারের গোয়ালন্দ-তাড়াইল সড়কের পূর্ব পাশে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাইমুদ্দিন আহমেদ মণ্ডলের ঢেউটিনের দোকান রয়েছে। তিনি রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

উপহারের প্যাকেটটি নিয়ে ওই দোকানে আসেন আলমগীর নামের এক ভ্যানচালক। তিনি প্যাকেটটি দোকানের কর্মচারী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের (৩৫) হাতে তুলে দিয়ে চলে যান। শ্যামল প্যাকেটটি খুলে ভেতরে একটি দইয়ের হাঁড়ি ও তাঁর নিচে কুণ্ডলী পাকানো অবস্থায় একটি সাপ দেখতে পেয়ে মূর্ছা যান। খবর পেয়ে কাইমুদ্দিন আহমেদ মণ্ডল কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানে এসে হাজির হন। তখনো সাপটি জীবিত ছিল। সাপটির দৈর্ঘ্য অন্তত আট থেকে সাড়ে আট ফুট।

কাইমুদ্দিন আহমেদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার পর বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন। পরে ভ্যানচালক আলমগীরকে আটক করে তাঁর কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রামনগর ইউনিয়নের কালীখোলা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী জহুরুদ্দী কারিগর (৫৩) তাঁকে ২০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে বাক্সটি তাঁর দোকানে পৌঁছে দিতে বলেন। পরে ভ্যানচালকের সহায়তায় এলাকার বাসিন্দারা জহুরুদ্দী কারিগরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এলাকার বাসিন্দারা জহুরুদ্দী কারিগরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে তাঁকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন। তিনি কাইমুদ্দিন মণ্ডলকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। পরে কাইমুদ্দিন আহমেদের জিম্মায় তাঁকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।