উজিরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

হত্যা
প্রতীকী ছবি

বরিশালের উজিরপুরে মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার নামের সত্তরোর্ধ্ব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর আজ শনিবার দুপুরে নিহতের মেজ ছেলে মো. জুয়েল তালুকদার (৩৫) উজিরপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১২ জনসহ মোট ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে (৭২) কুপিয়ে হত্যার পাশাপাশি তাঁর তিন ছেলে ও পুত্রবধূকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪৫), মো. জলিল সেপাই (৫৫) ও তাঁদের সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের বয়স্ক সব সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ঘটনার দুই দিন পর আজ দুপুরে মেজ ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন।

প্রতিপক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে (৭২) কুপিয়ে হত্যার পাশাপাশি তাঁর তিন ছেলে ও পুত্রবধূকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

মামলায় নুরুল ইসলাম (৪৫), মো. জলিল সেপাই (৫৫), আকলিমা বেগম (৩২), সাইফুল ইসলাম (৪৫), আকতার হোসেন (৪০), সবুজ সরদার (৩৫), সুলতান মোল্লাসহ (৪৫) ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা ১২ জনসহ মোট ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি বলেন, পুলিশ শনিবার দুপুরে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আকলিমা বেগম (৩২), সাইফুল ইসলাম (৪৫), আকতার হোসেন (৪০), সবুজ সরদার (৩৫) ও সুলতান মোল্লাকে (৪৫) গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাঁদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছিল।

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের সঙ্গে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ও মো. জলিল সেপাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল ইসলাম ও জলিল সেপাইর নেতৃত্বে তাঁদের লোকজন দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, তাঁর ছেলে বিপ্লব তালুকদার (৪০), সোহাগ তালুকদার (৩৭), জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও পুত্রবধূ রোজিনা বেগমকে (২৫) কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন হামলাকারীরা। আহত ব্যক্তিদের বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার মারা যান। তাঁর তিন ছেলে ও পুত্রবধূ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।