সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষায় অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ

>

২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু। বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডিতে অধ্যয়ন করছেন ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাফাত হাসান

প্রথম আলো: বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে আপনার মূল্যায়ন?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কর্মযজ্ঞ তৈরি হয়েছে, এর জন্য প্রকৌশলসহ সব শাখার শিক্ষার্থীদের নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর দেশেই এখন উচ্চশিক্ষার সব সুবিধা রয়েছে। চুয়েটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে প্রচুর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এখন দেশেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশ গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রথম আলো: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এখানে তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার দিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হয়। এ জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার সমৃদ্ধ না হলে শিক্ষার্থীরা অনেকাংশেই পিছিয়ে যায়। তাই একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ লাভ করে, সে জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত একটি রূপরেখা তৈরি করব।

প্রথম আলো: নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কী ভূমিকা রাখছে?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগার আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। ইউজিসি থেকে বরাদ্দ করা অর্থের সিংহভাগই এই খাতে ব্যয় করা হবে। শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে আমরা প্রতিবছরই সফলভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছি। এ ছাড়া ক্যাড কোর, রোবটিকস, প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্বিক সহায়তা করা হয়।

মোহাম্মদ রফিকুল আলম


প্রথম আলো:
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং ন্যায্য দাবি আদায় ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় যেহেতু ছাত্র সংসদের ব্যাপারে কোনো উল্লেখ নেই, তাই প্রাথমিকভাবে এর জন্য নীতিমালা পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় উপযোগী করতে হবে।

প্রথম আলো: টিএসসির কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ আছে। এগুলো সমাধানে কোনো উদ্যোগ আছে কি না?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: বিভিন্ন কারণে টিএসসির নির্মাণকাজ বাধার মুখে পড়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের মাঝামাঝি এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। তখন সংগঠনগুলোর কার্যালয় এবং ক্যানটিন সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

প্রথম আলো: চুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। চুয়েট এ ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে?

মোহাম্মদ রফিকুল আলম: চুয়েট থেকে শিক্ষা লাভের পর শিক্ষার্থীরা জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। চুয়েট সব সময় এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।