কক্সবাজারের উখিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে আজিমুদ্দিন (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা নেতাকে (মাঝি) কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। তাদের হামলায় আরও দুজন রোহিঙ্গা মারাত্মক আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা ক্যাম্পের বি-ব্লকের সাব-ব্লক এম-৯–এর সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আজিমুদ্দিন ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এল-১৬ ব্লকের বাসিন্দা কমল উদ্দিনের ছেলে ও বি ব্লকের রোহিঙ্গা নেতা (মাঝি) ছিলেন। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলাকারীদের কোনো পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরের বি-ব্লকের সাব-ব্লক এম-৯–এ মাঝিরা স্বেচ্ছাসেবকদের রাত্রিকালীন পাহারার দায়িত্ব বণ্টন করছিলেন। এ সময় ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় সৈয়দ করিম, রহিমুল্লাহ ও আজিমুদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রাখে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমএসএফ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিমুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুজনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কয়েক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের তিন মাঝির ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গলা, মাথা, হাত-পা ও পিঠে মারাত্মক জখম করে। এর মধ্যে আজিমুদ্দিনের গলা ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় রাতে পাহারার কাজ করায় তাদের হুমকি দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে তিনজনকে কুপিয়েছে। এর মধ্যে আজিমুদ্দিন নামের এক রোহিঙ্গা নেতা মারা গেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।