করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ঈদ পর্যন্ত রাজশাহী নগরের সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কাল শনিবার থেকে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে চেম্বার অব কমার্স ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৯ মে রাতে নগর ভবনে ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে দোকানপাট বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছিলেন মেয়র ও স্থানীয় সাংসদ। কিন্তু পরদিন থেকে অনেক দোকানপাট খোলা ছিল। কেউ অর্ধেক শাটার নামিয়ে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। পরপর দুই দিন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা পরিপূর্ণ দোকানপাট খোলার দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। পরে কয়েক দফা বৈঠক শেষে আজ বিকেলে ‘পরিপূর্ণ’ দোকানপাট বন্ধের এ সিদ্ধান্ত এল। তবে ওষুধ ও মুদিদোকান এবং কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। ওই সভায় দোকান কর্মচারীদের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, আরডিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মাদুদ হাসান, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নূরুন নবী, কাপড়পট্টি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শামীম, বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহিদ, হড়গ্রাম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবুল কাশেম, জুয়েলার্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসলাম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, সভায় জনপ্রতিনিধিরা যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তাঁরা মেনে নিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, যাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা রাজশাহীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পান। আর দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা তাঁরা ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের জানানো শুরু করেছেন।