ঈদে কাশিমপুর কারাগারের বন্দীরা এবার নতুন পোশাক পেয়েছেন। এ ছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের দিন বন্দীদের জন্য বিশেষ খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার আবদুল জলিল জানান, কাশিমপুর কারাগারে তিন হাজার বন্দী আছেন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া প্রায় এক হাজার ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া বন্দী আছেন ৬০০ জন। ঈদ উপলক্ষে কারাগারের দরিদ্র ১ হাজার ২৮ জন বন্দীকে নতুন লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পার্ট-১-এর সুপার মো. নুরুন্নবী ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে গতকাল ১০০ দরিদ্র বন্দীকে লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বন্দীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। তাঁদের মধ্যে ৭১ জন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এবং শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী আছেন।
পার্ট-২-এর সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে গত শনিবার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ১৫০ জন দরিদ্র বন্দীকে নতুন লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। এ কারাগারে বন্দী আছেন ২ হাজার ৭৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং চার শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী আছেন।
অন্যদিকে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মোসা. হালিমা খাতুন বলেন, জেলা প্রশাসন ও কারাগারের সহায়তায় এ ঈদে ২৬৫ জন দরিদ্র নারী বন্দী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা ৮০ জন শিশুকে নতুন জামা দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার জেলা প্রশাসক গিয়ে ওই পোশাক বিতরণ করেন। এ কারাগারে মোট বন্দীর সংখ্যা প্রায় ৭০০। তাঁদের মধ্যে ফাঁসির আসামি ৩০ জন এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধশত। এ ছাড়া এ কারাগারে (দিবাযত্ন কেন্দ্র) মা বন্দীদের সঙ্গে ৮৪টা শিশু আছে।
ঈদের দিন কারাগারে বিশেষ খাবার হিসেবে সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে পোলাও-মাংস, মিষ্টি, সালাদ, পান-সুপারি এবং রাতে ভাত, রুই মাছ, ছোলার ডাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।