ঈদের ষষ্ঠ দিনেও বাংলাবাজারে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েই চলেছে। বুধবার সকাল ১০টায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায়
 ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ঈদের ষষ্ঠ দিনেও ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী ১৮টি ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড় চোখে পড়ে।

বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, পাঁচ দিনের তুলনায় আজ ঘাটের ভিড় সবচেয়ে বেশি। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হলেও তা মানছেন না কেউ। সকাল থেকে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন যাত্রীরা। অনেকেই ঘাটে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফেরিতে গরমের মধ্যে গাদাগাদি করে পদ্মা পারাপারে আবারও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটে যাত্রীদের চাপ কমছে না। দিন যত যাচ্ছে, যাত্রীদের চাপ ততই বাড়ছে। সকালে ঘাট থেকে ছাড়া প্রতিটি বড় ফেরিতে ২ হাজারের বেশি যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে গেছেন। যানবাহনের চাপও আছে। এ ছাড়া শিমুলিয়া থেকেও আসা যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ দেখা যাচ্ছে।

মাদারীপুর থেকে ঢাকামুখী যাত্রী সাব্বির আহমেদ বলেন, ঘাটে ভিড় দেখে মনে হবে না দেশে করোনা মহামারি চলছে। কেউ তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। ফেরিতে গা ঘেঁষে গাদাগাদি করে পারাপার হতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ কমার বদলে বাড়তে থাকবে।

খুলনা থেকে আসা মনির হোসেন বলেন, ঘাটে আসর আধঘণ্টার মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পেরেছেন। রোদের যে তাপ তাতে শরীরের অবস্থা খারাপ।

সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঘাটে যাত্রীদের ভয়াবহ ভিড় ছিল বলে জানান বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. আশিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, দলে দলে মানুষ ফেরিতে উঠছে। সকাল ৯টার পর থেকে ফেরিতে ভিড় লেগেই আছে।