ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সন্ধ্যাকালীন কোর্সে স্টোর কক্ষে দরজা আটকিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই কক্ষে কোনো পরিদর্শক ছাড়াই এক দিনে টানা ৯ ঘণ্টায় তিনটি কোর্সের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমানকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার আইন বিভাগের সন্ধ্যাকালীন নবম ব্যাচের তৃতীয় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থীর প্রথম সেমিস্টারের মানোন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ওই দিন টানা ৯ ঘণ্টায় তিনটি (১০৫, ১০৬, ১০৭) কোর্সের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরীক্ষা তিনটি কোনো ক্লাস কক্ষে না নিয়ে আইন বিভাগের স্টোর কক্ষে নেওয়া হয়েছে। যেখানে কোনো পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন না। পরিদর্শক না থাকায় ওই শিক্ষার্থী মুঠোফোনের মাধ্যমে নকল করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ ছাড়া ওই তিন কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়নি। এ অভিযোগগুলো এনে গত বৃহস্পতিবার আইন বিভাগের সভাপতি নুরুন্নাহার ও ছাত্র উপদেষ্টা পরেশ চন্দ্র বর্মন উপাচার্য হারুন উর রশিদ আসকারীর কাছে পৃথকভাবে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন।
উপাচার্য হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমানকে পরীক্ষার শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। কখন কীভাবে কী পরীক্ষা হয়েছে, তার কিছুই জানি না। অন্য মাধ্যম দিয়ে শুনেছি এ রকম ঘটনা ঘটেছে।’