কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ নিলুফা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। গতকাল রোববার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলে।
আন্দোলনরত ছাত্রীদের অভিযোগ, আবাসিক হলের এক ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে সময়মতো প্রাধ্যক্ষের সহযোগিতা পাননি। উল্টো ছাত্রীদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এ অভিযোগ প্রথম আলোর কাছে অস্বীকার করেছেন প্রাধ্যক্ষ নিলুফা আক্তার।
কয়েক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থী হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিষয়টি হলের অন্য ছাত্রীরা দ্রুত প্রাধ্যক্ষকে মুঠোফোনে জানান। ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষকে জানানোর ৪০ মিনিটেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সও পাঠানো হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বারবার ফোন দেওয়ার একপর্যায়ে প্রভোস্ট বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে আবার হলে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীরা রাত ১০টার দিকে হলের ফটকে জড়ো হন। আরও কয়েকটি অভিযোগে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা। রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। ছাত্রীরা গণস্বাক্ষর দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ তাঁদের কাছে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, কেউ অসুস্থ হলে প্রাধ্যক্ষকে কল দিলে তিনি অনেক খারাপ আচরণ করেন। হলের ডাইনিংয়ের খাবার দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এসব বিষয়ে তাঁকে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেন না। উল্টো ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। একদিন হলে চোর ঢুকেছিল, জানানোর পরও তিনি সে ব্যাপারে কিছু করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ নিলুফা আক্তার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ শতভাগ সত্য নয়। অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য একজন হাউস টিউটরকে বলা হয়েছিল। হয়তো তিনি একটু দেরি করেছেন। ফোন তো সব সময় হাতে থাকে না। তবে খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স হলে পাঠানো হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ শোনা হয়েছে।