কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সংগঠন। মানববন্ধন থেকে উপাচার্যকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁকে অপসারণ করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের এন এন রোডে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ব্যানারে কর্মীরা অংশ নেন। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে উপাচার্যকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা ফেস্টুন–ব্যানার ছিল।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সাজ্জাদ হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম, সদস্য উকিল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিয়োগ–বাণিজ্য ও টেন্ডার–বাণিজ্যের হোতা দুর্নীতিবাজ উপাচার্য আসকারী দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রগতিশীল এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি ধ্বংস করে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি পরিচালনা করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং হুমকি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হতে চলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে অবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে অপসারণ করে এবং তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতি সিন্ডিকেটের সব সদস্যের অপকর্ম তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।
কয়েকটি ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘দুর্নীতিবাজ উপাচার্য আসরকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, সাহেদ-সাবরিনা গেছে যে পথে, আসকারী যাবে সেই পথে, দুর্নীতিবাজদের বসবাস উপাচার্য আসকারীর চারপাশ।’
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমান উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সমাবেশ থেকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আপনি (আসকারী) অনেক জ্বালিয়েছেন, অপকর্ম করেছেন, দুর্নীতি, নিয়োগ ও টেন্ডার–বাণিজ্য করেছেন। অনেক কিছু করেছেন, আর করার চেষ্টা করবেন না। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছি, এই চারপাশের দোকানদার ভাইয়েরাও আসকারীকে বিশেষ, বিশেষভাবে চেনেন। আমরা কিন্তু আপনার (উপাচার্য) জীবনের ফাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে দেব।’
বক্তারা বলেন, আগামী ২০ আগস্ট বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে দেনদরবার করছেন। তিনি যদি পুনরায় নিয়োগ পান, তাহলে ক্যাম্পাসে মারাত্মক অস্থিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।