ইলিশসহ পদ্মা-মেঘনার সম্পদ রক্ষায় সরকারের কমিটি গঠন

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র
চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ঠেকাতে এবং নদীর সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ৬ সদস্যের এ কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (খাসজমি) জহুরুল হককে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। ওই মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন-২) আবুল কালাম তালুকদার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (অধিগ্রহণ-১) কবির মাহমুদ, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দাউদ হোসেন চৌধুরী।

দাপ্তরিক আদেশে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুর অংশে পদ্মা ও মেঘনা নদীর নাব্যতা রক্ষা, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষা, ভাঙনরোধসহ নদীসম্পদ রক্ষায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। জেলে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। জেলা প্রশাসকের পাঠানো ওই প্রতিবেদনের আলোকে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের সমন্বয় সভা, ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্সের সভা এবং নদী রক্ষা কমিটির সভা হয়। এসব সভায় সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং মতামতে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর দিকগুলো উঠে এসেছে। এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নদী রক্ষা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ওই চিঠিতে পদ্মা ও মেঘনার নদীসম্পদ রক্ষায় এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এ–সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন, সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল মামলা এবং সিভিল রিভিউ পিটিশনের আদেশগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।