নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে কারচুপির কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলায় পৌঁছেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার পশ্চিম গোমদণ্ডী বশরত নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং উপজেলা সদরের পূর্ব গোমদণ্ডী পাইলট মডেল হাইস্কুলে ইভিএম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম–৮ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল ৭ নভেম্বর মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজ বিকেলে বোয়ালখালী যান।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি নূরুল হুদা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইভিএম কার্যক্রম আপনারা ভালোভাবে দেখলে ভুলটা কেটে যাবে। মানুষের মধ্যে শঙ্কাটা সঠিক না। নতুন প্রযুক্তি শুরু হলে কিছুটা বির্তক থাকে। আমার মনে হয়, কয়েকটি নির্বাচনের পর মানুষের মধ্যে ধারণাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মতো ইভিএমে ভোট কারচুপি হবে—বিএনপি নেতাদের এমন আশঙ্কাকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমি প্রার্থীদের পোস্টার পাশাপাশি দেখেছি। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, প্রার্থীদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচন নিয়ে সংঘাত বা মনোমালিন্য হয়নি। ঢাকা থেকেও খবরাখবর নিয়েছি। এখানে এসে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো মনে হয়েছে। এ ছাড়া প্রর্থীদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। তাঁরা নিজেরা কোনো ধরনের সহিংসতার মধ্যে জড়াচ্ছেন না।’
৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন ঢাকার দুটি সিটিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা বলেন, ‘সরস্বতী পূজার দিন সরকারি ছুটি থাকে। ছুটির ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয় মন্ত্রিসভায়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ তারিখে ছুটি নেই। ৩১ তারিখ শুক্রবার এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা (এসএসসি) শুরু হচ্ছে। এ কারণে ৩০ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ আমরা দিয়েছি।’
আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমদ খান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।