কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট সেলিনা নাসরিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হলের প্রধান ফটকে আন্দোলন করেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারী সেখানে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিলে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন ও তাঁদের মা–বাবা তুলে কথা বলেন। এমনকি রাতের বেলা কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে তাঁকে সহযোগিতা করা হয় না। এ রকম বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রাত ১০টার দিকে হলের প্রধান ফটক খুলে প্রভোস্ট সেলিনা নাসরিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের খবর পেয়ে সেখানে প্রথমে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরেশ চন্দ্র বর্মণ। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান। রাত সোয়া ১১টার দিকে উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারী হলের ফটকের সামনে যান। তবে সে সময় হল প্রভোস্ট বা হলের কোনো সহকারী প্রভোস্ট ঘটনাস্থলে যাননি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্লাকার্ড হাতে প্রভোস্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত হলের প্রভোস্ট কক্ষে আলোচনা করেন উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তারা। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে সকাল পর্যন্ত সময় নেন।
উপাচার্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রভোস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রভোস্টের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে ১৮টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনে হলের ছাত্রলীগের কিছু নেত্রী বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলন করলে হল বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
হলের প্রভোস্ট সেলিনা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলন দেখে অবাক হয়েছি। তাঁরা কোনো অভিযোগই আমাকে জানায়নি। এখন যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার কোনো সত্যতা নেই।’