মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে ডেকে এনে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে আবুল কালাম আজাদ (৩৫) নামের এক যুবককে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ওই নারী।
অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের বাড়ি লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের রুস্তুমপুর গ্রামে। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে মোটরসাইকেলে আনা–নেওয়া ও তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে থাকেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বপরিচয় থাকায় আবুল কালাম আজাদ ওই নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁকে নানা সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। ১৯ মে বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার কক্ষে ওই নারীকে ডেকে এনে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেন আবুল কালাম আজাদ। ওই নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন তিনি। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান আজাদ। এদিকে ওই নারী বিয়ের চাপ দিলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকি। চেয়ারম্যান এলাকায় উন্নয়ন করছেন, সেই কাজ আমি দেখভাল করছি। আমার বিরোধী পক্ষ ওই নারীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করিয়েছে।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা মিয়া বলেন, ১০ বছর ধরে মোটরসাইকেলে পদ্মা নদীর পাড় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তাঁকে আনা–নেওয়া করেন আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।