দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁদের আটক করা হয়।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ আটক করার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটক করা দুজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫)।
জাহাঙ্গীর বেপরোয়া টাইপের। কিছুদিন আগে আমার ওপরও হামলার চেষ্টা করেছিলেনদিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ শিবলী সাদিক
জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ শিবলী সাদিক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর বেপরোয়া টাইপের। কিছুদিন আগে আমার ওপরও হামলার চেষ্টা করেছিলেন।’
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের একটি দল আজ ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর রেঞ্জের অফিসে।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের র্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তাঁর নিজ বাসা থেকে আটক করেন।
আটক করা দুজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। তবে কী কারণে ইউএনওর ওপর তাঁরা হামলা করেছেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে নাহাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আটক করা দুজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। তবে কী কারণে ইউএনওর ওপর তাঁরা হামলা করেছেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৬০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু গতকাল সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তাঁর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তাঁর বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে।