বরিশালে ইউএনওর বাসায় হামলা-সংঘর্ষ

আ. লীগের ১২ নেতা-কর্মী আটক, ৭ ঘণ্টা পর বাস চলাচল শুরু

বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, বরিশাল নগর, ১৯ আগস্ট
 ছবি: সাইয়ান

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ ওরফে বাবু, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অলিউল্লাহ অলি।

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতের ঘটনার প্রতিবাদে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে গতকাল রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল রাতে দুই দফায় জেলা ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালান। হামলায় ইউএনওর বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। ছাত্রলীগের দাবি, এ সময় তাদের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার-পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসেন। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছেন জানিয়ে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবার সকালে এগুলো ছিঁড়তে বলেন। এরপর তাঁরা তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও মহানগর যুবলীগের সদস্য মমিন উদ্দিন বলেন, রাতে গুলিতে ও পুলিশের লাঠিপেটায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে অভ্যন্তরীণসহ দূরপাল্লার সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।