গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন

আ.লীগের ‘স্বশিক্ষিত’ প্রার্থীর বিপরীতের লড়বেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

মঞ্জুর কাদির চৌধুরী ও মো. সফিক উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ১৫ জুন। নির্বাচনে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মঞ্জুর কাদির চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সফিক উদ্দিন। সফিক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও।

প্রার্থীদের হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, রফিপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুর কাদির চৌধুরী হলফনামায় নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে কানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. সফিক উদ্দিন উচ্চমাধ্যমিক পাস। মঞ্জুর পেশায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী, আর সফিক আবাসন ব্যবসায়ী। মঞ্জুরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সফিক একটা হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

সফিক বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে মঞ্জুর হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮১১ টাকা। মঞ্জুরের অস্থাবর সম্পদ আছে ১০ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার ৮৩০ টাকার। তাঁর স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৩১ লাখ ১ হাজার ৪০৩ টাকার।

সফিকের অস্থাবর সম্পদ আছে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর স্ত্রীর আছে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার। সফিকের স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ৪ শতক কৃষিজমি এবং অর্জনকালীন সময়ের মূল্য হিসেবে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৬৪ শতক অকৃষিজমি। তাঁর একক বা যৌথ নামে কোনো ঋণ কিংবা দায়দেনা নেই।

হলফনামায় দেখা গেছে, মঞ্জুরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে প্রায় ৫ একর কৃষিজমি, অর্জনকালীন মূল্য হিসেবে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১টি প্লট এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া দোতলা একটি ভবন। একক বা যৌথ নামে তাঁর কোনো ঋণ অথবা দায়দেনা নেই।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা ভোটারদের জানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নানা মাধ্যমে হলফনামার প্রচার করা হবে। এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের টানা দুবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী মারা যান। পরে পদটি শূন্য ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সমঝোতার চেষ্টা করে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে না পেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রত্যেকের নামই কেন্দ্রে পাঠায়। এঁদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির সাফিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই।