আ.লীগের নেতাকে নিয়ে আরেক নেতার অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলার মানচিত্র
গাইবান্ধা জেলার মানচিত্র

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সাংসদ উম্মে কুলসুমের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মাহিবুল হাসান পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। মাহিবুল জামায়াত পরিবারের সদস্য বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা কমিটির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এই ঘটনায় তিনি ৫ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে মাহিবুল হাসানকে নিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা।

আমিনুল ইসলাম তাঁর অভিযোগে বলেন, গত ১৩ মার্চ পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নবগঠিত কমিটিতে মাহিবুল হাসানকে সাংসদের পরামর্শে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। অথচ মাহিবুলের বাবা জামায়াত করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কেউ বা তাঁর পরবর্তী বংশধর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া দূরের কথা, সমর্থকও হতে পারবেন না। তাহলে কী করে মাহিবুল হাসান উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন?

আমিনুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, মাহিবুল আওয়ামী লীগ পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাহলে তিনি কীভাবে কমিটিতে স্থান পান?

এদিকে মাহিবুল হাসানকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। গাইবান্ধা পাবলিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আনোয়ারুল কবির। সম্মেলনে তিনি বলেন, মাহিবুল হাসান সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত।

আনোয়ারুল কবির আরও বলেন, কয়েক দিন আগে স্থানীয় বিএনপি নেতা সুরুজ হককে যুগ্ম আহ্বায়ক করে পলাশবাড়ী উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়। সুরুজ হকের এই পদ পাওয়া নিয়ে মাহিবুলসহ দলের অনেকেই প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদের মুখে জেলা শ্রমিক লীগ পলাশবাড়ী উপজেলা শ্রমিক লীগের বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে। এর জেরে মাহিবুল হাসানের বাবা-মাকে জড়িয়ে জামায়াতসংশ্লিষ্টতার অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে ওই পক্ষ। মাহিবুল হাসান বলেন, সুরুজ হকের আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের প্রতিবাদের কারণেই একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমিনুল এবার কমিটিতে পদ না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেন।