আরসা সদস্য সলিম হত্যা মামলায় তিন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আরসার সদস্য মো. সলিম উল্লাহ (৩০) হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং (ক্যাম্প-২) বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আবুল হাশিম (৫৫), কলিম উল্লাহ (৫২) ও নুর মোহাম্মদ (২৬)। তাঁরা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা। তাঁরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত।

১৫ জুন রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ মুন্না বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসা সদস্য মো. সলিম উল্লাহ নিহত হন।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ জুন রাতে কুতুপালং ক্যাম্পের সি-ব্লকে হামলা চালায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসার (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) কয়েকজন সদস্য। এ সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আরেকটি গ্রুপ মুন্না বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসা সদস্য মো. সলিম উল্লাহ নিহত হন। তিনি কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-২, পশ্চিম) সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুস শুক্কুরের ছেলে। সলিম উল্লাহ আরসার সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

এর আগের দিন ১৪ জুন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে উখিয়া থানার পুলিশ। অভিযোগপত্রে আরসার ২৯ জন নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়। রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে আরসা সদস্যরা আশ্রয়শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।

এপিবিএন কর্মকর্তারা বলেন, আশ্রয়শিবিরের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক। সেখানে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।