ফেরি বন্ধ। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল যেতে পারবে না। বাড়িতে জরুরি কাজ আছে, যেতেই হবে। তাই ঢাকা থেকে মাওয়া টোলপ্লাজা এলাকায় আসেন লুৎফর রহমান। তিনি যাবেন শরীয়তপুরের জাজিরায়।
লুৎফর পরিকল্পনা করেছিলেন, মাওয়া প্রান্ত থেকে এক হাজার টাকা ভাড়ায় পিকআপে মোটরসাইকেল তুলে জাজিরা প্রান্তে যাবেন। কিন্তু পিকআপে করেও মোটরসাইকেল নিতে পারেননি। এ সময় আলাপকালে লুৎফর বলেন, ‘আমি এখন কোন পথ দিয়ে বাড়িতে যাব।’
আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কথা হয় লুৎফরের সঙ্গে। এদিন সকালে সেতু দিয়ে পিকআপে করে মোটরসাইকেল পারাপার করা হলেও দুপুরের পর থেকে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন লুৎফরের মতো বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী।
গতকাল রোববার রাতে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর আজ সকাল থেকে সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মোটরসাইকেল আরোহী, যাঁরা ঢাকায় গিয়েছিলেন, তাঁরা মাওয়া টোলপ্লাজা প্রান্তে এসে আটকা পড়েন।
বরিশাল যেতে ইচ্ছুক আরেক মোটরসাইকেল আরোহী সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে দাদি অসুস্থ। তাঁকে দ্রুত দেখতে যেতে হবে। ফেরি, সেতু—দুটোই বন্ধ। হয় ফেরি, নয়তো সেতুতে পারাপারের অনুমতি দেওয়া হোক।’
সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের নাওডোবা এলাকার বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, ‘গতকাল লৌহজংয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম বাইক নিয়ে। এখন সে বাইক নিয়ে বাড়িতে যেতে পারছি না। সেতুতে কয়েকজনের বেপরোয়া আচরণের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটল। এতে বাইক চালানো বন্ধ করে দিল।’
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা পিকআপে করে তাঁদের মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সেতুতে উঠে তাঁরা পিকআপ থেকে মোটরসাইকেল নামাতে পারেন।