সপ্তম ধাপে গত সোমবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম ওরফে রানা তাঁর নিজের ভোটটিও পাননি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ফলাফলের শিটে তাঁকে শূন্য ভোট দেখানো হয়। এ ঘটনায় রবিউল নিজেও হতবাক।
আমি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর ও ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান। ফলাফল শিটে আমার একটিও ভোট নেই। এ ফলাফল দেখে আমি হতবাক। আমি নিজে অন্য কাউকে ভোট দিইনি। এ ছাড়া পরিবারের সদস্য ও সমর্থকেরাও রয়েছেন। তাঁদের ভোটের কথা না হয় বাদই দিলাম। আমার নিজের ভোটটি গেল কোথায়?রবিউল ইসলাম, সদস্য প্রার্থী, ৯ নম্বর ওয়ার্ড
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কুসুম্বা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ভোটার ২ হাজার ৮৭২ জন। তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৪৬৩ জন ভোট দিয়েছেন, ১৫৩টি ভোট বাতিল হয়েছে। বৈধ ভোট পড়েছে ২ হাজার ৩১০টি। এ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ৮৯৩ ভোট পেয়ে ভূপেন চন্দ্র মণ্ডল (টিউবওয়েল) বিজয়ী হয়েছেন। বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে মো. ময়নুল হাসান (আপেল) ৭৩৫ ভোট ও আজিজুল হক (মোরগ) ৬৮২ ভোট পেয়েছেন। তবে রবিউল ইসলাম (তালা) কোনো ভোট পাননি।
রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর। এ ছাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যানও। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল শিটে আমার একটিও ভোট নেই। এ ফলাফল দেখে হতবাক হয়েছি। আমি নিজে অন্য কাউকে ভোট দিইনি। এ ছাড়া পরিবারের সদস্য ও সমর্থকেরাও রয়েছেন। তাঁদের ভোটের কথা না হয় বাদই দিলাম। আমার নিজের ভোটটি গেল কোথায়?’
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রেজা বলেন, ‘সাধারণ সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম রানা কোনো ভোট পাননি। আমরা গণনায় ওনার প্রতীকের একটিও ভোট পাইনি। এখন প্রার্থী নিজের ভোট না পেলে আমরা কী করব?’
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রার্থী কোনো ভোট না পেলে আমরা কী করব? বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, ভোটের দিন বেলা তিনটার দিকে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ভোটার ভোট দিতে ৮ নম্বর বুথে প্রবেশ করেন। তাঁর দাবি, তাঁকে সদস্যদের যে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়, তাতে আপেল প্রতীকে সিল দেওয়া ছিল। এরপর সন্দেহ হলে তিনি সব ব্যালট পেপার উল্টে আপেল প্রতীকে সিল মারা দেখতে পান। পরে তিনি সেগুলো বাইরে এনে অন্যদের দেখান। এরপর এ নিয়ে অন্য প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ১৫–২০ মিনিট বন্ধ ছিল।