বরগুনার আমতলী উপজেলার পাঁচটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার। বুধবার অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। ফসলি জমিতে গড়ে তোলায় ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলায় নয়টি ড্রাম চিমনির ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র, কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ১০ বছর ধরে এ ইটভাটাগুলো চালিয়ে আসছেন মালিকেরা। বুধবার ওই নয়টি ইটভাটার মধ্যে এমএমবি, ফাইভ স্টার, এমএসবি, মৃধা ব্রিকস ও জোবায়দা ব্রিকসে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পটুয়াখালী র্যাব-৮–এর সদস্যরা তাঁকে সহায়তা করেন।
অভিযান চলাকালে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার এক্সকাভেটর দিয়ে পাঁচটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। অভিযান চলাকালে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার, র্যাব-৮–এর সহকারী পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমতলী উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পাঁচটি ইটভাটা সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধভাবে গড়ে তোলা সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।