প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত ও জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের উদ্বোধন কার্যক্রম শেষ করে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কাঁঠালবাড়ির জনসভাস্থলে পৌঁছান। এ সময় মঞ্চে বাজানো হয় আব্দুল আলীমের গাওয়া বিখ্যাত গান ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’। এরপর বাজানো হয় ‘ও নদী রে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’ গানটি। গান শেষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে জনসভাস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু অতিক্রম করেন, তখন বিমানবাহিনীর ছয়টি হেলিকপ্টার তাঁকে অভিবাদন জানায়। এরপর হেলিকপ্টারগুলো কাঁঠালবাড়ি ঘাটে জনসভা মঞ্চের ওপর দিয়ে চক্কর দেয়। এর একটিতে জাতীয় পতাকা, একটিতে বঙ্গবন্ধু, একটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পদ্মা সেতু, আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা বহন করছিল। আরেকটি হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছিটিয়ে জনসভায় আসা মানুষদের অভিবাদন জানানো হচ্ছিল।
এর আগে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সেতু পেরিয়ে জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় আসেন। সেখানে পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচন করেন। এরপর তিনি পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দিয়ে নাওডোবার আন্ডারপাস পেরিয়ে নাওডোবা-কাঁঠালবাড়ি সড়ক ধরে ১২টা ৫০ মিনিটের সময় শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে পৌঁছান। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
শরীয়তপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক সরদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা নদী যেমন সর্বনাশা, তেমনই আমাদের গর্ব। পদ্মা নদী ঘিরেই এ অঞ্চলের মানুষের জীবন–জীবিকা। নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করায় এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসবে। পদ্মা সেতু তৈরির নায়ক শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উপহার নিয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন। আমরা আবেগে আপ্লুত, কৃতজ্ঞ ও উৎফুল্ল। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সেতু বিভাগ বর্ণিল ও সম্মানের যে অনুষ্ঠান আয়োজন করছে তার জন্য তাদের ধন্যবাদ।’
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু হবে অর্থনৈতিক করিডরের মূল কেন্দ্রবিন্দু
পদ্মা সেতুতে কত টাকা টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় আমরা আনন্দিত: বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর