রংপুর মহানগর পুলিশের নবাগত কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেছেন, ‘আবু সাঈদকে কারা গুলি করল, কীভাবে মৃত্যু হলো, এটি প্রমাণ করার জন্য খুব বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না। এরপরও আবু সাঈদের হত্যা-পরবর্তী সময়ে পুলিশের কাজ ছিল লজ্জার, একটা অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকারী সাজাল, এটি অত্যন্ত লজ্জার।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু সারা বিশ্ব দেখেছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা আবু সাঈদ ছিলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
মো. মজিদ আলী আরও বলেন, ‘আবু সাঈদ যেভাবে শহীদ হয়েছেন, সেটি দেখে বিশ্বের মানুষ শিহরিত হয়েছে। দেশের মধ্যে বীর আবু সাঈদ ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছে। আবু সাঈদের দৃষ্টান্ত পরে দেশের ইতিহাসে বীর হিসেবে চিহ্নিত হবে, এটি আমার বিশ্বাস। আমি যোগদানের পরেই আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি এবং পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।’
দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে মো. মজিদ আলী বলেন, ‘আমি যাতে আপনাদের যথাযথ সেবা দিতে পারি, এ জন্য সহযোগিতা করবেন। এখন ছাত্র-জনতার বিপ্লব-পরবর্তী পুলিশের যেসব কার্যক্রম চলছে, তাতে সবার সহযোগিতা থাকা দরকার। কিছু স্বার্থান্বেষী ও অত্যুৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য পুলিশ বাহিনীর আজকের পরিণতি।’
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মো. আবু বকর সিদ্দীক, উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মেনহাজুল আলম প্রমুখ।
গত ১৩ আগস্ট রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে চাকরি থেকে অবসর দেয় সরকার। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি (সুপারনিউমারারি ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) মো. মজিদ আলীকে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়।