আনন্দে-উৎসবে অন্য রকম দিন

লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে গত বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে একদল শিক্ষার্থী। ছবি: প্রথম আলো
লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে গত বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে একদল শিক্ষার্থী।  ছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত ছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০১৯ উপলক্ষে এই আনন্দ আয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক (বীর প্রতীক), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী; প্রত্যেক শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি, গীতিনাট্য, নাটিকা, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে প্রধান অতিথি মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আদর্শ মানুষ ও নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য শুধু পাঠ্যপুস্তক নির্ভর পড়াশোনা করলেই চলবে না, আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা, সংগ্রাম ও আন্দোলন বিষয়ে জানতে হবে। এ জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও লালনের কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনে সহপাঠ্যক্রমিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে। তাহলে তারা পরবর্তী জীবনে ক্ষতিকর যেকোনো কাজ বা জঙ্গিবাদে জড়িত হবে না এবং সুনাগরিক হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারবে।