সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গত সোমবার সড়কের বুধহাটা বাজার এলাকায়
সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। গত সোমবার সড়কের বুধহাটা বাজার এলাকায়

সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক

আধা ঘণ্টার পথ যেতে লাগে দুই ঘণ্টা

সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে আশাশুনি উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটির সংস্কারকাজ বন্ধ। এতে এই সড়কে বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। এতে আটকে মাঝেমধ্যে উল্টে যায় যান।

সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে আশাশুনি উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটির সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। সাড়ে ২৩ কিলোমিটার এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। এতে আটকে মাঝেমধ্যে উল্টে যায় যান। বেহাল সড়কের কারণে সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি যেতে সময় লাগছে প্রায় দুই ঘণ্টা। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে লাগত মাত্র আধা ঘণ্টা।

গত সোমবার সকালে ওই সড়কে ধরে যাওয়ার সময় দেখা যায়, সড়কটি খুঁড়ে পাথর ও বালু দিয়ে রোলার করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পাথরের খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বুধহাটা থেকে আশাশুনি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারের অবস্থা আরও নাজুক। যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জিনচালিত ভ্যানসহ সব ধরনের যান চলছে ধীরগতিতে। বুধহাটা বাজারে চলতি পথে গর্তে আটকে এক ইঞ্জিনচালিত ভ্যান উল্টে যেতে দেখা যায়।

বুধহাটা থেকে আশাশুনি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারের অবস্থা আরও নাজুক। যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জিনচালিত ভ্যানসহ সব ধরনের যান চলছে ধীরগতিতে।

এই পথে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সচালক জাহাঙ্গীর আলম বলছিলেন, অসুস্থ রোগীকে দ্রুত বহন করে নেওয়া যায় না। এবড়োখেবড়ো সড়কে চলতে ঝাঁকি লাগে। এতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। গাড়ির চাকাও বিকল হয়ে যায় মাঝেমধ্যে। প্রায় আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরা যেতে আধা ঘণ্টার এই পথে এখন প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে যায়।
বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্ষার পানি সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে জমে থাকে। যানবাহন চলাচলের সময় ছিটকে আসা পানিতে দোকানের পণ্য নোংরা হয়ে যায়।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিন জানান, সংস্কারের শুরুতে পাথরসংকট ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে একপর্যায়ে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এই সময়ে বৃষ্টির কারণে পাথর উঠে গেছে। জনসাধারণের সমস্যার কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।