বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের রায় আজ মঙ্গলবার। রায় উপলক্ষে কারাগারে থাকা মামলার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তাদের আদালতে আনা হয়। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এ কারণে আজ আদালতে ঢুকতে পারেননি আসামিদের স্বজনেরা। ১৪ অক্টোবর মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সব তথ্য–প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আমরা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’
এক আসামির আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আদালতে যেসব তথ্য–প্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি, তাতে আমরা আশাবাদী, আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার মক্কেল কোনোমতেই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয় বলে আদালতে তথ্য উপস্থাপন করেছি।’
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়শার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১০ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১৪ জন।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকায় ছয় আসামিকে প্রথমে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা বাকি আট আসামিকে আদালতে আনা হচ্ছে।