নরসিংদীতে নিজের আট মাসের শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. আপন মিয়া। তিনি সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আপন মিয়ার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মারুফা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁরা রায়পুরার মরজাল এলাকায় বসবাস শুরু করেন। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় এ দম্পতির ঘরে মাহিন নামের একটি শিশুর জন্ম হয়। এ সময় আপন মিয়া পাশের বাড়ির এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর সকালে মারুফা রান্নাঘরে কাজ করার সময় আপন মিয়া তাঁর আট মাসের শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় মাহিনের মা মারুফা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী আপন মিয়ার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর আপন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক ও প্রমাণ বিচার করে আদালত আপন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. মুনসুর আলী শিকদার। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শাহাদাৎ হোসেন।
আইনজীবী মো. মুনসুর আলী শিকদার জানান, আট মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আসামি আপন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।